এবার রাজধানীর ডেমরায় গণপিটুনিতে চিহ্নিত কিশোর গ্যাং লিডার ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সাঈদ বাহিনীর প্রধান মো. সাঈদ (৩২) নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে বাহির টেংরা ওরিয়েন্টাল স্কুলের দক্ষিণ পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ও সাঈদ বাহিনীর নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সাঈদ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ওই এলাকার দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর করে।
এরপর খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়ি ওরিয়েন্টাল স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই সাঈদের পরিবারের লোকজন ও কিছু এলাকাবাসী সাঈদের নিথর দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিহত সাঈদ বাহির টেংরা এলাকার মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে। তার নামে ডেমরা থানাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে। এদিকে গত ৩ এপ্রিল টেংরা শফুরউদ্দিন মার্কেট সংলগ্ন চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয় সাঈদ। পরের দিন আদালত তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শেখ হাসিনার সরকার পতনের দিনই সাঈদ বাহিনী ডেমরা বাহির টেংরা এলাকায় এসে আবার নানারকম তাণ্ডব শুরু করে। পূর্বশত্রুতার জেরে আমতলা এলাকায় আব্দুল হক নামে এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর ছেলে হাসান ও তার ভাইকে বেধড়ক মারধর করে। অনেকের গদি ও দোকানপাটসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, শুক্রবার বিকেলেও নিজ বাহিনীর উপস্থিতি ও চাঁদাবাজি বহালের উদ্দেশ্যে সাঈদ ওরিয়েন্টাল স্কুল সংলগ্নে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে গণপিটুনি দিতে থাকে। তার প্রতি দীর্ঘদিনের ক্ষিপ্ততার একপর্যায়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ভুক্তভোগী জনতা।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, গণপিটুনিতে সাঈদ বাহিনীর প্রধান সাঈদ নিহত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এই ঘটনায় সাঈদ বাহিনীর অন্য সদস্যরা ওই এলাকায় নানা রকম তাণ্ডব চালায়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর ৩টি গাড়ি এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।